ফাইল ফটো
নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন গত ৩০ নভেম্বর শেষ হয়েছে। তবে নৈপন্য অ্যাপের কারিগরি জটিলতার কারণে এখনো শিক্ষার্থীদের ফল দিতে পারেনি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই জটিলতা পুরোপুরি কেটে না যাওয়ায় হাতে লিখে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের (রবিবার) মধ্যে রিপোর্ট কার্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর(মাউশি)।
জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের অ্যাপ নৈপুণ্যে তথ্য অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জটিলতায় পড়েছিলেন বহু শিক্ষক। ফলে কিছু প্রতিষ্ঠান অ্যাপ ব্যবহার করে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করলেও অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা অ্যাপের মাধ্যমে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে পারেননি, তাদের আপাতত ম্যানুয়ালি রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে হবে।
মাউশির আদেশে বলা হয়েছে, নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসারে— ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের পারদর্শিতা নির্দেশক (পিআই) ও আচরণিক নির্দেশক (বিআই) সংক্রান্ত ডেটা অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সফলভাবে নৈপুণ্য অ্যাপে ইনপুট দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক ও আচরণিক মূল্যায়নের ট্রান্সক্রিপ্ট এবং রিপোর্ট কার্ড তৈরি করে ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নৈপুণ্য অ্যাপ ব্যবহার করে এখনো রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে পারেনি, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আপাতত ম্যানুয়ালি রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মূল্যায়নের পদ্ধতি সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে রিপোর্ট কার্ড হস্তান্তর করতে হবে।
তবে আপাতত শিক্ষার্থীদের ম্যানুয়ালি প্রস্তুতকৃত রিপোর্ট কার্ড হস্তান্তর করা হলেও এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নৈপুণ্য অ্যাপ ব্যবহার করেই মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।